হাউজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আকরাম আযিমি বলেন: কোম হাওজা ইলমিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একশ বছর পূর্তি একটি মূলধারার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চিন্তাগত পরিপক্বতার প্রতীক। আমরা আশা করি সব পরিচালক, সহকারী, শিক্ষক ও ছাত্রদের সহযোগিতায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাওজার বৈজ্ঞানিক, বিপ্লবী ও সামাজিক পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করতে পারব এবং "ইনকিলাবের দ্বিতীয় ধাপের বিবৃতি" বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব।
আকরাম আযিমি, হামেদান প্রদেশের মহিলা হাওজা ইলমিয়ার পরিচালক, কোম হাওজা ইলমিয়ার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে হাওজা নিউজ–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন: ইসলামী সভ্যতা নির্মাণে হাওজা ইলমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোম হাওজা ইলমিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হযরত শেখ আব্দুল করীম হায়েরি ইয়াজদির উদ্যোগে একটি নবজাগরণের সূচনা ছিল, যা ধর্মীয় জ্ঞানের নব উত্থান ও দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী-পুরুষ উভয়ের হাওযার প্রসারের পথ তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন: এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানকে স্মরণ করা নয়, বরং এটি হলো এক শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রাম এবং বিশুদ্ধ মুহাম্মদী ইসলামের পুনর্জাগরণের ইতিহাস পুনরালোচনা।
তিনি হাওজা ইলমিয়ার ইসলামি বিপ্লবে মৌলিক ভূমিকা তুলে ধরে বলেন: ইমাম খোমেইনির (রহ.) আন্দোলন হাওজার মাঝ থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল এবং আজও এই গতিধারা হাওযা ইলমিয়ার গতিশীলতার উপর নির্ভর করে। বিপ্লব-পূর্ব ও পরবর্তী সব সময়েই হাওজাগুলোর অনন্য ভূমিকা ছিল। কোম হাওজা সেই আন্দোলনের সূচনা করেছিল, যার ফলাফল আজ ইরানের সর্বত্র দৃশ্যমান এবং নারী-পুরুষ উভয়ই চিন্তাগত, সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সক্রিয়ভাবে উপস্থিত রয়েছেন।
তিনি বলেন: হামেদান প্রদেশের মহিলা হাওজার কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে: বৈজ্ঞানিক সেমিনার, মুক্ত চিন্তাভাবনার আসর, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের আলোচনা, মিডিয়া কনটেন্ট প্রোডাকশন, ভার্চুয়াল কার্যক্রম এবং কিছু শ্রেণি এই উপলক্ষে উৎসর্গ করা। আমাদের মূল প্রচেষ্টা ছাত্রদের চিন্তাশীল সক্রিয়করণে, শুধু দর্শক হিসেবে নয়।
তিনি আরও বলেন: তালেবাদের স্ত্রীদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা পরিবারে পরবর্তী প্রজন্মের গঠন ও সমাজে প্রভাব বিস্তারে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখেন। মুমিন সন্তানদের গঠন, স্বামীদের বৈজ্ঞানিক ও মানসিক সহায়তা এবং সমাজে সাংস্কৃতিক ভূমিকা পালন তাঁদের অন্যতম দায়িত্ব। অনেক আলেমের স্ত্রী ঘরে নিঃশব্দে সংগ্রাম করে বড় বড় ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক আন্দোলনের পেছনে অবিচল সমর্থন দিয়েছেন। এই ঘর ও হাওজার সংযুক্তি একটি অনন্য ও সভ্যতা নির্মাণকারী সম্পর্ক।
হাওজার মহিলা শাখার পরিচালক ছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন: তারা আত্মপ্রণোদিত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং নিজেদের হাওজার কার্যকর অংশ হিসেবে দেখছে। কনটেন্ট তৈরি, ভার্চুয়াল ক্যাম্পেইন ও চিন্তাশীল সভাগুলোতে তারা আগ্রহী। এই মানসিকতা ভবিষ্যতে মহিলা হাওজার জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনার বার্তা দেয়।
শেষে তিনি পুনরায় বলেন: কোম হাওজার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একশ বছর পূর্তি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চিন্তাগত পরিপক্বতার প্রতীক। আমরা আশা করি সকল পরিচালক, সহকারী, শিক্ষক ও ছাত্রীদের সহযোগিতায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাওজার বৈজ্ঞানিক, বিপ্লবী ও সামাজিক পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করব এবং ইনকিলাবের দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করব।
আপনার কমেন্ট